উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩/০৭/২০২৪ ১২:০১ পিএম

জেলার পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর কার্যালয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ছবি টাঙ্গানোর অভিযোগ উঠেছে। গত ১২ জুন চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ২৬ জুন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা শাফায়েত আজিজ রাজু পেকুয়া উপজেলা পরিষদ ভবনে তিন তলায় অবস্থিত চেয়ারম্যান কার্যালয়ে তার বসার চেয়ারের পিছনে সরকারি নিয়ম মোতাবেক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো হয়। কিন্তু সরকারি কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি বিশেষের ছবি টাঙানোর নিয়ম না থাকলেও এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যালয়ে!

গতকাল ২ জুলাই দুপুরে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের বসার টেবিলের বাম পাশের নিচে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ছবি টাঙানো হয়। সালাহ উদ্দিনের ছবির সাথে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছবিও সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ডান পাশে চেয়ারম্যান নিজের ছবি টাঙিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের ছবির সাথে সংযুক্ত করে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফারুক আযাদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারি অফিসে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর ছবি টাঙনো যায় কিনা আমরা জানতে চাই। সরকারি অফিস থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর ছবি না সরালে আমরা উপজেলার সামনে মানববান্ধন করতে বাধ্য হবো।’
এদিকে উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতার ছবি টাঙানো নিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ও রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল বলেন, সরকারি কার্যালয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি টাঙানো উচিত হয়নি। সরকারি কার্যালয়ে আবেগ চলেনা। অফিস দেখলে মনে হয় এটি বিএনপির কার্যালয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা। ব্যক্তি বিশেষের ছবি টাঙানো নিয়ে কোথাও নিষেধ নেই। শ্রদ্ধার জায়গা থেকে তার ছবি টাঙানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে বিএনপি নেতার ছবি সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি অফিসে বিধিবহির্ভুত কোন ব্যক্তি বিশেষের ছবি টাঙ্গিয়ে রাখা বেআইনী।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে বিজিবির বুলেটপ্রুফ গাড়িতে টহল

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে মরিয়া হয়ে সক্রিয় থাকা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আর চোরাচালান বন্ধে ...